সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক (সুনামগঞ্জ): নিরীহ পথচারী ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোড়ায় হতাহতের ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ওই লিখিত অভিযোগটি করেছেন। এসআই রফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল কনকন, শ্যামল ও কনস্টেবল কাসেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে শফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন যে, যেখানে ব্যবসায়ীদের লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে ঝগড়াঝাঁটি শেষ হয়ে গেছে, তারা বাজার থেকে চলে গেছে সেখানে বুধবার দুপুরে তাহিরপুর সদর বাজারে এসআই রফিকুল তার সাথে থাকা তিন কনস্টেবলকে নিয়ে এসে অহেতুক নিরীহ পথচারী ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের এলোপাতাড়িভাবে বেধরক লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা বাঁধা দিতে এলে এসআই রফিকুল কোমড় থেকে পিস্তল বের করার পর গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স আনিয়ে উস্কানি দিয়ে সে নিজেই একের পর এক রাবার বুলেট ছোঁড়তে থাকে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের ওপর। এ ঘটনায় গ্রামের ভেতর বাড়িতে ঢুকে এক নারীকে পিঠিয়ে আহত করে ওই এসআই। শুধু তাই নয়, তার বর্বোরোচিত হামলার ঘটনায় ৬ বছরের এক শিশুসহ কমপক্ষে ৫০ লোক আহত হয়েছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কী এমন পরিস্থিতি হয়েছিলো যে অহেতুক লোকজনকে লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি; এমনকি এই ঘটনা ঘটিয়ে পুলিশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে হল ওই এসআইকে?
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ খান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বুধবার রাতে জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।